প্রকাশিত: Tue, Aug 15, 2023 10:43 PM
আপডেট: Sun, Jun 29, 2025 8:49 PM

১৫ আগস্ট ঘটিয়েছিল জিয়াউর রহমান: তথ্যমন্ত্রী

এম খান: [২] জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার জন্য আবারও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে দায়ী করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, আর বেগম খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছিল (তাদের ছেলে) তারেক রহমান। আজকে বিএনপি মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি করে।” সূত্র: বিডিনিউজ।

[৩] মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবসের সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

[৪] ১৯৭৫ সালের এই দিনে সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা ও সৈনিকের হাতে সপরিবারে জীবন দিতে হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

[৫] সেই রাতে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধু ছাড়াও তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, শেখ জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ নাসেরকে হত্যা করে।

[৬] নিহত হন বঙ্গবন্ধুর বোনের স্বামী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবী ও শিশুপুত্র সুকান্ত বাবু; বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, নিকট আত্মীয় শহীদ সেরনিয়াবাত ও রিন্টু।

[৭] ধানমণ্ডির বাড়িতে পুলিশের বিশেষ শাখার সাব ইন্সপেক্টর সিদ্দিকুর রহমান ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিলকেও গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।

[৮] বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় সে সময় প্রাণে বেঁচে যান।

[৯] বঙ্গবন্ধুকে জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় দাফন করা হলেও পরিবারের অন্য সদস্যদের ঢাকার বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

[১০] তথ্যমন্ত্রী বলেন, “জাতির ইতিহাসে এত বেদনাবিধূর দিন আর কখনো আসেনি। কারবালার প্রান্তরে হযরত ইমাম হোসেনকে যখন জবাই করে হত্যা করা হয়, তখনও নারী এবং শিশুদের হত্যা করা হয়নি।

[১১] “কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টের কালরাত্রিতে ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, ৪ বছরের শিশু সুকান্ত বাবু, ৮ বছরের শিশু আরিফ সেরনিয়াবাত, ১২ বছরের শিশু বেবি সেরনিয়াবাত, অন্তঃসত্ত্বা আরজু মনিকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ নাসেরসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের কাউকে ঘাতকেরা রেহাই দেয়নি।”

[১২] তিনি বলেন, “বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত, হত্যার মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা দখল করে এবং খুনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে ছিলেন।”

[১৩] বিএনপি এখনো সেই ‘হত্যা-খুনের রাজনীতি’ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতা হাছান বলেন, “তারা ঘৃণা এবং হিংসার রাজনীতি করে, ১৫ অগাস্ট (খালেদা জিয়ার) মিথ্যা জন্মদিন পালন করে, কেক কাটে।

[১৪] “দেশে যদি সুস্থ রাজনীতির ধারা চালু রাখতে হয়, তাহলে বিএনপির এই অপরাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।”